"ফিসফিসে ছায়া: রহস্যময় বাড়ির অন্তর্গত ভয়ঙ্কর গল্প" - প্রথম অধ্যায়



সেই রাতে ঝড় থামার কোনো লক্ষণ ছিল না। সারাহ তার পরিবার-পরিচালিত পুরনো গ্রামের বাড়িতে একা ছিল। তার বাবা-মা সপ্তাহান্তে বাইরে ছিলেন, আর তাকে বিশাল বাড়িটার দায়িত্ব দিয়ে গিয়েছিলেন। শুরুতে ভয়ের কিছু ছিল না— অন্তত তাই সে ভেবেছিল।

বিদ্যুৎ চলে গিয়েছিল কয়েক ঘণ্টা আগে। চারপাশের অন্ধকারের মাঝে শুধু কাঠের চিড় আর হাওয়ার শোঁ শোঁ শব্দ। মোমবাতি জ্বালিয়ে সারাহ লিভিং রুমে বসেছিল, একটা পুরনো বই পড়তে চেষ্টা করছিল। কিন্তু একটা অদ্ভুত অনুভূতি তাকে অস্থির করে তুলছিল। যেন বাড়িটা নিজের মধ্যে কিছু লুকিয়ে রেখেছে।

হঠাৎ শব্দটা হলো। প্রথমে খুব মৃদু— শুকনো পাতার মতো খসখসানি। সারাহ ভাবল হয়তো বাতাসের শব্দ। কিন্তু আবার হলো, এবার একটু জোরে।

“সারাহ...”

সে জমে গেল। বইটা তার হাত থেকে মাটিতে পড়ে গেল। সেই ফিসফিসে শব্দটা পরিষ্কার শুনতে পেল, যেন কেউ তার পেছনে দাঁড়িয়ে বলছে।

ধীরে ধীরে সে পিছনে ঘুরল। টর্চলাইটের কাঁপা কাঁপা আলো ঘরের কোণ ঘুরে বেড়াল।

কিন্তু কিছুই দেখা গেল না।

“কেউ আছো?” সে ভীতস্বরে ডাকল।

শব্দ বন্ধ হয়ে গেল।

সে নিজের মনের ভুল ভেবে হাসল। কিন্তু সেই অস্বস্তি কাটছিল না। ফিসফিসানি আবার শুরু হলো, এবার একটু জোরে।

“সারাহ... এখানে আসো...”

এইবার শব্দটা পরিষ্কারভাবে বেসমেন্ট থেকে আসছিল। সারাহর পেট কুঁকড়ে উঠল। বেসমেন্টটা সবসময় তার জন্য ভয়ের জায়গা ছিল। তার দাদি সেখানে পুরনো জিনিসপত্র রেখে দিতেন— পুরনো বাড়ির রহস্যময় স্মৃতিচিহ্ন। বাড়ির আগের মালিক একদিন হঠাৎ করে নিখোঁজ হয়ে গিয়েছিলেন, আর স্থানীয় মানুষ বিশ্বাস করত তার আত্মা এখনও বাড়িটাতে ঘুরে বেড়ায়।

কৌতূহল আর ভয়ের দ্বন্দ্বে জড়িয়ে সারাহ বেসমেন্টে নামার সিদ্ধান্ত নিল।

টর্চলাইট হাতে, ধীরে ধীরে কাঠের কড়মড়ে সিঁড়ি দিয়ে নিচে নামল। বেসমেন্টের দরজাটা আধা-খোলা ছিল। ঠাণ্ডা বাতাস তার শরীরকে শিরশিরে করে তুলল। সে দরজাটা একটু ঠেলে খুলল, আর টর্চলাইটের আলোতে দেখতে পেল পুরনো ফার্নিচারগুলো ধুলোমাখা কাপড়ে ঢাকা।

“কেউ আছো?” সে মৃদু স্বরে জিজ্ঞেস করল।

আলোর ফাঁকে ছায়াগুলো যেন নড়ছিল। আর তখনই সে দেখল—একটা ছায়া যা তার নয়।

“সারাহ...” সেই ফিসফিস এবার কোণের দিক থেকে এলো।

তার টর্চলাইটটা কাঁপতে কাঁপতে নড়তে লাগল, তারপর হঠাৎ নিভে গেল।

ঘুটঘুটে অন্ধকারে সে অনুভব করল: হিমশীতল আঙুল তার হাতে ছুঁয়ে গেল।

সে চিৎকার করে দৌড়ে পালাতে লাগল। দরজা ঠেলে বন্ধ করল। কিন্তু লিভিং রুমে পৌঁছে বুঝল কিছু ঠিক নেই।

ছায়াগুলো তার চারপাশে নড়ছিল, দেওয়াল বেয়ে উঠে আসছিল, মেঝের উপর ঘুরে বেড়াচ্ছিল। মোমবাতিগুলো কাঁপতে কাঁপতে একে একে নিভে গেল।

“সারাহ...” এবার গলার স্বরগুলো একসাথে বলে উঠল। “তুমি আমাদের সাথে থাকবে।”

ছায়াগুলো যেন হাত বাড়িয়ে তার দিকে এগিয়ে এলো। অন্ধকার তাকে গ্রাস করল। তার দৃষ্টিতে শেষ যে দৃশ্য ভেসে উঠল, সেটি ছিল ছায়ামূর্তির হাত বাড়ানো।

সেই রাতে ঝড় থামার কোনো লক্ষণ ছিল না। সারাহ তার পরিবার-পরিচালিত পুরনো গ্রামের বাড়িতে একা ছিল। তার বাবা-মা সপ্তাহান্তে বাইরে ছিলেন, আর তাকে বিশাল বাড়িটার দায়িত্ব দিয়ে গিয়েছিলেন। শুরুতে ভয়ের কিছু ছিল না— অন্তত তাই সে ভেবেছিল।

বিদ্যুৎ চলে গিয়েছিল কয়েক ঘণ্টা আগে। চারপাশের অন্ধকারের মাঝে শুধু কাঠের চিড় আর হাওয়ার শোঁ শোঁ শব্দ। মোমবাতি জ্বালিয়ে সারাহ লিভিং রুমে বসেছিল, একটা পুরনো বই পড়তে চেষ্টা করছিল। কিন্তু একটা অদ্ভুত অনুভূতি তাকে অস্থির করে তুলছিল। যেন বাড়িটা নিজের মধ্যে কিছু লুকিয়ে রেখেছে।

হঠাৎ শব্দটা হলো। প্রথমে খুব মৃদু— শুকনো পাতার মতো খসখসানি। সারাহ ভাবল হয়তো বাতাসের শব্দ। কিন্তু আবার হলো, এবার একটু জোরে।

“সারাহ...”

সে জমে গেল। বইটা তার হাত থেকে মাটিতে পড়ে গেল। সেই ফিসফিসে শব্দটা পরিষ্কার শুনতে পেল, যেন কেউ তার পেছনে দাঁড়িয়ে বলছে।

ধীরে ধীরে সে পিছনে ঘুরল। টর্চলাইটের কাঁপা কাঁপা আলো ঘরের কোণ ঘুরে বেড়াল।

কিন্তু কিছুই দেখা গেল না।

“কেউ আছো?” সে ভীতস্বরে ডাকল।

শব্দ বন্ধ হয়ে গেল।

সে নিজের মনের ভুল ভেবে হাসল। কিন্তু সেই অস্বস্তি কাটছিল না। ফিসফিসানি আবার শুরু হলো, এবার একটু জোরে।

“সারাহ... এখানে আসো...”

এইবার শব্দটা পরিষ্কারভাবে বেসমেন্ট থেকে আসছিল। সারাহর পেট কুঁকড়ে উঠল। বেসমেন্টটা সবসময় তার জন্য ভয়ের জায়গা ছিল। তার দাদি সেখানে পুরনো জিনিসপত্র রেখে দিতেন— পুরনো বাড়ির রহস্যময় স্মৃতিচিহ্ন। বাড়ির আগের মালিক একদিন হঠাৎ করে নিখোঁজ হয়ে গিয়েছিলেন, আর স্থানীয় মানুষ বিশ্বাস করত তার আত্মা এখনও বাড়িটাতে ঘুরে বেড়ায়।

কৌতূহল আর ভয়ের দ্বন্দ্বে জড়িয়ে সারাহ বেসমেন্টে নামার সিদ্ধান্ত নিল।

টর্চলাইট হাতে, ধীরে ধীরে কাঠের কড়মড়ে সিঁড়ি দিয়ে নিচে নামল। বেসমেন্টের দরজাটা আধা-খোলা ছিল। ঠাণ্ডা বাতাস তার শরীরকে শিরশিরে করে তুলল। সে দরজাটা একটু ঠেলে খুলল, আর টর্চলাইটের আলোতে দেখতে পেল পুরনো ফার্নিচারগুলো ধুলোমাখা কাপড়ে ঢাকা।

“কেউ আছো?” সে মৃদু স্বরে জিজ্ঞেস করল।

আলোর ফাঁকে ছায়াগুলো যেন নড়ছিল। আর তখনই সে দেখল—একটা ছায়া যা তার নয়।

“সারাহ...” সেই ফিসফিস এবার কোণের দিক থেকে এলো।

তার টর্চলাইটটা কাঁপতে কাঁপতে নড়তে লাগল, তারপর হঠাৎ নিভে গেল।

ঘুটঘুটে অন্ধকারে সে অনুভব করল: হিমশীতল আঙুল তার হাতে ছুঁয়ে গেল।

সে চিৎকার করে দৌড়ে পালাতে লাগল। দরজা ঠেলে বন্ধ করল। কিন্তু লিভিং রুমে পৌঁছে বুঝল কিছু ঠিক নেই।

ছায়াগুলো তার চারপাশে নড়ছিল, দেওয়াল বেয়ে উঠে আসছিল, মেঝের উপর ঘুরে বেড়াচ্ছিল। মোমবাতিগুলো কাঁপতে কাঁপতে একে একে নিভে গেল।

“সারাহ...” এবার গলার স্বরগুলো একসাথে বলে উঠল। “তুমি আমাদের সাথে থাকবে।”

ছায়াগুলো যেন হাত বাড়িয়ে তার দিকে এগিয়ে এলো। অন্ধকার তাকে গ্রাস করল। তার দৃষ্টিতে শেষ যে দৃশ্য ভেসে উঠল, সেটি ছিল ছায়ামূর্তির হাত বাড়ানো।

পরদিন সকালে

সারাহর বাবা-মা বাড়ি ফিরে এসে দেখলেন বাড়ি পুরো নীরব। বিদ্যুৎ ফিরে এসেছে, কিন্তু সারাহ নেই।

বেসমেন্টের দরজাটা খোলা ছিল। ভেতরে ঠাণ্ডা বাতাস বইছিল। দেওয়ালের উপর অদ্ভুত কালো দাগে লেখা ছিল একটি মাত্র শব্দ: "থাকো।"

গ্রামের মানুষ বাড়ি নিয়ে কানাঘুষা করতে লাগল। কেউ বলল, বাড়িটা অভিশপ্ত। আর কেউ কেউ বলল, রাতে বাড়ির ভেতর ফিসফিসানি শোনা যায়, যেটা নাকি সারাহর নাম।

সারাহর বাবা-মা বাড়ি ফিরে এসে দেখলেন বাড়ি পুরো নীরব। বিদ্যুৎ ফিরে এসেছে, কিন্তু সারাহ নেই।

বেসমেন্টের দরজাটা খোলা ছিল। ভেতরে ঠাণ্ডা বাতাস বইছিল। দেওয়ালের উপর অদ্ভুত কালো দাগে লেখা ছিল একটি মাত্র শব্দ: "থাকো।"

গ্রামের মানুষ বাড়ি নিয়ে কানাঘুষা করতে লাগল। কেউ বলল, বাড়িটা অভিশপ্ত। আর কেউ কেউ বলল, রাতে বাড়ির ভেতর ফিসফিসানি শোনা যায়, যেটা নাকি সারাহর নাম।

চলবে.....

Comments